এবারের ঈদে বাড়ি যাবার জন্য বাস, ট্রেন ও লঞ্চের পরিবর্তে অনেকে বেছে নিচ্ছেন আকাশপথ। এরই মধ্যে টিকিট সংগ্রহ করতে যাত্রীদের চাপও বেড়ে গেছে ।

শুক্রবার সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। তারা বলেন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করছেন যাত্রীরা।

সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদকে সামনে রেখে বাড়তি ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর গত ১ জুন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নির্দেশনায় শর্তসাপেক্ষে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল শুরু হয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ দেশের দুটি বেসরকারি সংস্থা ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ার ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছিল। তবে শুরুতে দু-একটি ফ্লাইট চালানোর পর যাত্রী সংকটের কারণে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে দেয় বিমান। এদিকে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ার। তবে এখনও চালু হয়নি রাজশাহী ও কক্সবাজার বিমানবন্দর। আসন্ন ঈদে এ দুটি বিমানবন্দর চালু করার প্রক্রিয়া চলছে বলে বেবিচক কর্মকর্তারা জানান।

বেবিচক চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। করোনার প্রকোপের কারণে অভ্যন্তরীণ রুটে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ভ্রমণ করছে না।