ভারতে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম পর্বের লকডাউনের সময় বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা , সেইসময় শেয়ালের ঝাঁক রানওয়ের ধারে  পেতে বসেছিল নিজেদের সংসার

এখন সেই সংসার বাড়বাড়ন্ত হয়েছে যার ফলে বিপত্তিতে পারছেন উড়োজাহাজ চালকরাবিমানের ট্যাক্সিংয়ের সময় রানওয়েতে হঠাৎ সামনে শেয়াল পড়ে গেলে বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে

এক বিমানের পাইলট কদিন আগেই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে অবতরণের সময় উদ্বিগ্ন বার্তা পাঠান- টু জেকেলস আর ক্রলিং ইন দা রানওয়ে, প্লিজ রিমুভ দেম ফর সেফ ল্যান্ডিংএরপর হইহই করে বিমানবন্দরের কর্মীরা নেমে এলেন রানওয়েতে লাঠিসোটা নিয়ে শেয়াল তাড়াতে

এটিসি থেকে বার্তা গেল পাইলটের কাছে- জেকেলস আর রিমুভডসেফ পাসেজ ফর ল্যান্ডিংতারপর অবতরণ করল বিমানকলকাতা বিমানবন্দরের ডিরেক্টর কৌশিক ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন, তাঁদের সুমারি অনুযায়ী প্রায় একশ শেয়াল বিমানবন্দরের রানওয়ের ধারে ঘরবসত করছে

এই শেয়াল রানওয়েতে চলে এলেই বিপত্তি হতে পারেস্মোকবোম দিয়ে, গর্ত বুজিয়ে কোনও ফলই পাননি তাঁরাতাই শেয়ালের বংশ ধ্বংস করার জন্য অর্থাৎ শেয়াল মারার জন্যেএকমাত্র শেয়ালকে মারতে পারলেই সমস্যার সমাধান হতে পারে বন দপ্তরের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে

কিন্তু, উনিশশো বাহাত্তর সালের বন্যপ্রাণী আইন দেখিয়ে শেয়াল মারার অনুমতি দিচ্ছে না বনদপ্তরওই আইনে শেয়াল মারা নিষিদ্ধএখন প্রশ্ন এটাই, কোনটি বেশি মূল্যবান- মানুষের প্রাণ না শেয়াল!