বাংলাদেশের সঙ্গে ইতালির বিমান চলাচল বন্ধের পর, এ নিয়ে যৌক্তিকতা নিয়ে মুখ খুললেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে।
চলতি সপ্তাহে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে রাষ্ট্রীয় সফরকালে সেখানকার একটি টেলিভিশনের সাংবাদিকদের কাছে ফ্লাইট বন্ধ নিয়ে কন্তে খোলামেলা আলোচনা করেন।
এসময় তিনি বলেন, “সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে আসা বেশিরভাগ যাত্রীদের মধ্যে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে। এছাড়াও এদেরমধ্যে বেশিরভাগ মানুষ ইতালি ফিরে হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না। এতে তাদের দ্বারা আরো মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। আমরা একটি জরিপে দেখেছি বাংলাদেশ থেকে আসা প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ করোনা ভাইরাস বহন করে নিয়ে আসছে। এরা কিভাবে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পাড় হলো সেটা অবশ্যই ভাবার বিষয়। আমরা সুস্পষ্ট করে বলতে পারি বাংলাদেশের ইমগ্রেশনে সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় না”।
এসময় তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশীরা কোনো ধরনের পর্যবেক্ষণ ছাড়াই ইমিগ্রেশন পার হয়ে ইতালি এসে এখানে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ফ্লাইট বন্ধ করেছি। একেকজন বাংলাদেশী এখন একেকটা ভাইরাস বোমা। আমরা আমাদের দেশকে বোমা থেকে দূরে রাখতে আপাতত ফ্লাইট স্থগিত করেছি।“
এছাড়াও বৃহস্পতিবার ইটালির স্বনামধন্য পত্রিকা ‘কোররীয়েরা দেল্লা সেরা ‘ এক প্রতিবেদনে বলেছে, সরকার আপাতত বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশের সঙ্গে চলতি মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত সকল ফ্লাইট বাতিল করেছে।
দেশগুলো হলো - আরমানিয়া, বাহরাইন, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, বসনিয়া, চিলি, কুয়েত, উত্তর মাচেদোনিয়া, মলদোভা, ওমান, পানামা, পেরু ও রিপাবলিক ডমেনিকান।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব দেশে যদি কেউ বিগত ১৪ দিনের মধ্যে ট্রানজিটে যায় বা অবস্থান করে তারা আপাতত ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবেনা। এমনকি কোন ইতালিয়ান নাগরিকও যদি এসব দেশে গত ১৪ দিনের মধ্যে ভ্রমণ করে থাকে তাহলে তারাও আপাতত ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবেনা।