আকাশপথে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক সকল বাংলাদেশি নাগরিককে এখন থেকে বাধ্যতামূলক করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে হবে। আর তা অবশ্যই সংগ্রহ করতে হবে সরকারের নির্ধারিত ১৬টি করোনা টেস্টিং সেন্টার থেকে করোনা পরীক্ষা করে।
শনিবার (১২ জুলাই) বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ওয়েবসাইটে এরূপ বিজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ২৩ জুলাই থেকে বিদেশ গমনে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উল্লেখিত ১৬টি কেন্দ্র থেকে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ নিয়ে তবেই ভ্রমণে যাওয়া যাবে।
মূলতঃ গত ১২ জুলাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে এক বিশেষ ভার্চুয়াল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিদেশ গমনে ইচ্ছুক যাত্রীদের কোভিড-১৯ মুক্ত সনদ নিয়ে গমনের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তারপর বিদেশগামী যাত্রীদের পরীক্ষা করানোর জন্য ১৬টি কেন্দ্র নির্দিষ্ট করে দিয়েছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সেক্ষেত্রে তারা কিছু শর্তও নিধারণ করে দিয়েছে।
যাত্রীদের জন্য শর্তগুলো হচ্ছেঃ
- যাত্রীর পরীক্ষা যাত্রার আগের সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হতে হবে। অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টার আগে করা পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে না বা এর আগে নমুনা সংগ্রহ করা হবে না। যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে অবশ্যই রিপোর্ট সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে হবে।
- নমুনা দেয়ার সময় পাসপোর্টসহ যাত্রীদের বিমান টিকিট উপস্থাপন ও নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে।
- কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট পরীক্ষাগার যে জেলায় অবস্থিত, সেখানকার সিভিল সার্জন অফিসে স্থাপিত পৃথক বুথে যাত্রীদের নমুনা দিতে হবে।
- নমুনা দেয়ার পর থেকে যাত্রার আগে পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে আইসোলেশনে থাকতে হবে।
- পরীক্ষার জন্য একটি ফি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। যারা ল্যাবরেটরিতে গিয়ে নমুনা দেবেন তাদের দিতে হবে ৩৫০০ টাকা। আর বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হলে ৪৫০০ টাকা দিতে হবে।
গত ১২ জুলাই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন কে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কারন জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, "কোনো কোনো দেশ এরকম নির্দেশনা দিয়েছে যে, তাদের দেশে প্রবেশ করতে করোনাভাইরাস নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগবে। সেই বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।"
যেসব স্থানে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করানো যাবেঃ
- সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, সিলেট
- শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল
- বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকেল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস, চট্টগ্রাম
- কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, কক্সবাজার
- কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা
- ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরোটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার, ঢাকা
- ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ, ঢাকা
- ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন, ঢাকা
- নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ
- খুলনা মেডিকেল কলেজ, খুলনা
- কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ, কুষ্টিয়া
- ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ
- বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়া
- রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী
- এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ, দিনাজপুর ও
- রংপুর মেডিকেল কলেজ, রংপুর