মহামারি করোনা সংক্রমণ রোধে ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে শুরু হয়েছে ‘কঠোর লকডাউন’। চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই দিনগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করতে চায় বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
টানা দুই সপ্তাহ বিধিনিষেধ দেওয়ার সুপারিশ দিয়েছে সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। ২১ এপ্রিল থেকে তাই বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই সোমবার (১৯ এপ্রিল) বৈঠকে বসবে আন্তঃমন্ত্রণালয়। এদিনের বৈঠকে এ প্রস্তাব দেবে বেবিচক।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেবিচক চেয়ারম্যান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সব সময় চাই যেন ফ্লাইট চালু থাকে। আমরা এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে পাঁচ দেশের ফ্লাইট চালু হয়েছে। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আমি স্বাস্থ্যবিধি মেনে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় রুটেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব করব আমরা। ফ্লাইট বন্ধের কারণে এই খাত অনেক আক্রান্ত (এফেক্টেড) হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান ‘কঠোর লকডাউনের’ মধ্যে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দেয়। পরে প্রবাসীদের বিক্ষোভের মুখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঁচটি দেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়।