ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপপুঞ্জগুলির মাঝে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বালি ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আবার আন্তর্জাতিক পর্যটকদের অনুমতি দেবে।
প্রদেশটি টানা তিন মাস লকডাউনে থাকার পর ৯ ই জুলাই পুনরায় খোলার তিনটি পর্যায়ের প্রথমটি শুরু করে। এই পর্যায়ে কৃষি, নির্মাণ ও সরকারী শিল্পে কিছু কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেয়া হয়। স্কুল এবং পর্যটন সম্পর্কিত ব্যবসা তখনও বন্ধ থাকে।
৩১ শে জুলাই থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় পর্যায়টিতে দেশীয় পর্যটকদের অনুমতি দেবে সরকার এবং এরপর শুরু হবে তৃতীয় পর্যায়, যেখানে আন্তর্জাতিক পর্যটকদেরকে স্বাগত জানানো হবে – এবং তা ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে।
বালি সরকার "আদেশ, শৃঙ্খলা এবং দায়বদ্ধতার" অনুরোধ করে বাসিন্দা এবং পর্যটকদেরকে নিয়মিত মাস্ক পরতে, ভিড় এড়িয়ে চলতে এবং ঘন ঘন হাত ধুতে উত্সাহিত করে।
"এই প্রচেষ্টার সাহায্যে আমরা কোভিড -১৯ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি, তবে যেহেতু আমরা এখনও কোনও ভ্যাকসিন পাইনি, এই বিবেচনা করে মহামারীটি কখন শেষ হবে তা নিশ্চিতভাবে জানি না," বালির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন পর্যটন বোর্ড।
সেখানে আরও বলা হয়, “সুতরাং কোভিড -১৯ নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের অবশ্যই প্রচেষ্টা করে যেতে হবে, একই সাথে মানব জীবনের জীবিকার জন্য আবার কাজ শুরু করতে হবে। এই ক্রিয়াকলাপ ধীরে ধীরে, বাছাইকৃতভাবে এবং সীমিত আকারে করা হবে”।
বালি, যেখানে সাধারণত প্রতি বছর প্রায় ৫ মিলিয়ন পর্যটক যায়, সেখানকার আয়ের প্রধান উত্স পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভর করে।
বালির গভর্নর ওয়েন কোস্টার বলেছেন, “এই মহামারী পর্যটন খাতকে অনেক খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে এবং কখন শেষ হবে তা নিয়ে নিশ্চিততা নেই"।
"ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক চাপের কারণে বালির নতুন সামাজিক সমস্যা থেকে রোধ করতে আমাদের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ পুনরায় চালু করতে হবে।"
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে, জুলাই মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় সামগ্রিকভাবে ৭৮০০০ জনের বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এবং এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজারের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
কোস্টার বলেন, সরকার মহামারীর মাঝে পর্যটন অঞ্চলগুলি আবার চালু করার জন্য নির্দেশিকা জারি করবে এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল আবার বন্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করবে।