প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কানাডায় ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনা করছে।
গত বুধবার জাতীয় পতাকাবাহী এই এয়ারলাইন্সটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মোকাব্বির হোসেন সরকারের সাথে এ ব্যাপারে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।
ইতোমধ্যে কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষের কাছে বিমান চালনার অনুমতি চেয়ে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এর আগে ২০১৩ সালে, বাংলাদেশ সরকার কানাডার সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করলেও এখন পর্যন্ত কোন স্থানীয় বিমান সংস্থা দেশটিতে কার্যক্রম শুরু করেনি।
জাতীয় ক্যারিয়ারটি চলতি বছরের অক্টোবর থেকে এই কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন মোকাব্বির।
তিনি বলেন, তারা যদি কানাডায় ফ্লাইট শুরু করে, ইউএস-ঢাকা যাত্রীদের ভ্রমণের সময় কমে ১৭ ঘন্টায় নেমে আসবে, যা বর্তমানে ২৩ থেকে ২৪ ঘন্টা।
তিনি আরো বলেন, শীঘ্রই জাপানের টোকিওতেও ফ্লাইট চালু করবে বিমান। অন্যান্য বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোর সাথে ফ্লাইট সংযোজনের মাধ্যমে এই দুটি গন্তব্য ঢাকাকে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের সংযোগকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি দেবে ।
মে মাসের মধ্যেই ঢাকা থেকে চীনের গুয়াংজুতে ফ্লাইট চালুর কথা ছিল বিমান বাংলাদেশের। তবে করোনা ভাইরাস মহামারী রূপ ধারণ করায় চীনা দূতাবাস থেকে অনুমতি পেতে বিলম্ব হয়।
দীর্ঘ যাত্রাপথের জন্য ৬ টি সম্পূর্ণ নতুন নতুন ড্রিমলাইনার এয়ারক্রাফট রয়েছে বিমানের।