অনুমতি মেলার আগেই টিকেট বিক্রি করে বিপাকে পড়েছে টার্কিশ এয়ারলাইনস।  ১৬ জুন আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চলাচলের মৌখিক অনুমতি পাওয়ার পরপরই টিকেট বিক্রি করা শুরু করে এয়ারলাইনসটি। কিন্তু বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বাঁধার কারণে আগামী ১লা জুলাই থেকে জুলাইয়ের সকল  ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স। এতে করে ভোগান্তিতে পরেছে সাধারণ যাত্রীরা। তবে দৈনিক জনকন্ঠের এক প্রতিবেদনে এয়ারলাইন্সটি জানায়, জুলাই থেকে প্রথম ফ্লাইট চালু করার প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।

বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুল রহমান বলেন, বিনা অনুমতিতে টিকিট বিক্রি শুধু টার্কিশ এয়ার লাইন্স একা করেনি, আরো অনেকেই এমনটা করছে। তবে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের আবেদন বিবেচনায় রাখা হয়েছে। রবিবার নাগাদ অনুমোদন মিলতে পারে সংস্থাটির। জুনের তারিখ থেকে চাইলে ফ্লাইট শুরু  করতে পারবে তারা।

এই বিষয়ে টার্কিশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছেন, গত ১৬ জুন থেকে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হয়েছে ঐদিন থেকেই যাত্রা শুরু করেছে কাতার এয়ারওয়েজ। এর পরিপেক্ষিতে তুরস্ক ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি জুলাই থেকে ফ্লাইট চলাচলের ঘোষণা দেয়। এই বিষয়ে অনুমতির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছে তারা।  কিন্তু এখনো কোন  সারা মেলেনি বেবিচক থেকে।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, অনুমতি ছাড়াই জুলাই থেকে বিমানের টিকেট বিক্রি করেছে এয়ারলাইন্সটি। ট্রাভেল এজেন্টগণ বাংলাদেশি যাত্রীদের কাছে বিভিন্ন গন্তব্যের শতশত টিকেট বিক্রি করে ফেলেছে।  এখন ১ জুলাই থেকে জুলাই পর্যন্ত বিক্রি হওয়া সকল টিকেট বাতিল করা হচ্ছে।

 এই ঘোষণায় বিপাকে পড়েছে ট্রাভেল এজেন্ট এবং টিকেট ক্রয় করা যাত্রীগণ। ট্রাভেল এজেন্ট গুলো এখন যাত্রীদের টাকা ফেরত দিতে পারছেনা। তারা জানায়, তারা টার্কিশ এয়ারলাইন্সের অনুমতি নিয়েই নির্দিষ্ট সার্ভার থেকে টিকেট করেছেন  যার অর্থ ইতোমধ্যেই এয়ারলাইন্সটির কোষাগারে জমা হয়েছে