দেশে চলছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। লকডাউন ঘোষণায় বাস-ট্রেন চলাচল বন্ধ। তাই বাড়ি ফেরার একমাত্র ভরসা এবার আকাশপথ।আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটের ৬০ শতাংশ টিকিট ইতোমধ্যে বিক্রি শেষ হয়েছে। আর দুই-তিনদিনের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে যাবে বলে ধারণা করছে এয়ারলাইন্সগুলো।

বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ৫ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিল। এর পরে ২১ এপ্রিল থেকে কক্সবাজার ছাড়া অভ্যন্তরীণ সব রুটে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউএস-বাংলা চট্টগ্রাম রুটে দৈনিক ৩টি, সিলেটে ২টি, সৈয়দপুরে ২টি, যশোরে ২টি এবং বরিশাল ও রাজশাহীতে ১টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।বিমান বাংলাদেশ চট্টগ্রাম রুটে দৈনিক ৩টি, যশোর, সিলেট, সৈয়দপুর ও বরিশালে ২টি করে ফ্লাইট পরিচালন করছে। আপাতত রাজশাহী রুটে ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে বিমান।

নভোএয়ার চট্টগ্রাম রুটে দৈনিক ৩টি, যশোর, সিলেট ও সৈয়দপুরে ২টি এবং বরিশাল ও রাজশাহীতে ১টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এসব এয়ারলাইন্সে ঢাকা থেকে সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, রাজশাহী, সৈয়দপুরের ওয়ানওয়ে ভাড়া সর্বনি¤œ ৩২শ টাকা। এয়ারলাইন্সগুলো বলছে, নির্বিঘেনে বাড়ি ফেরার জন্য গত ৪-৫ বছর ধরেই আকাশপথকে বেছে নিচ্ছেন যাত্রীরা।আকাশপথের সব টিকিট ঈদের ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই 

বিক্রি হয়ে যেত। লকডাউনের কারণে গত বছর ও চলতি বছর অনেকেই বাড়ি ফেরা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন। তবে ইতোমধ্যে মে মাসের ১২ ও ১৩ তারিখে ঢাকা ছাড়ার প্রায় ৬০ শতাংশ টিকিট শেষ হয়েছে। চাহিদা বাড়লে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনার কথা ভাবা হচ্ছে।