অবশেষে আগামী সপ্তাহে চালু হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চলাচল। সোমবার (৮ জুন) এ নিয়ে ঘোষণা দিবে বেবিচক।
ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে এবার বেশ কয়েকটি কঠোর শর্ত জুড়ে দেয়া হচ্ছে। শর্তের ব্যতিক্রম হলে ফ্লাইট পুনরায় বাতিল করা হবে। ফ্লাইট চলাকালিন সময় সকল যাত্রী এবং বিমান কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানা বাধ্যতামূলক। কর্তৃপক্ষ সামাজিক দূরত্ব মেনেই যাত্রীদের আসন বন্টন করবে। তবে এক্ষেত্রে ভাড়াও বেড়ে যাবে। লন্ডন ও কাতার রুটের সাথে ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে। এরপর অন্যান্য রুট খুলে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে যে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে অথবা আগামী সপ্তাহের শুরুতে আমরা ফ্লাইট চালু করতে পারব। বর্তমানে ১৫ জুন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, এরপর থেকেই খুলে দেয়া হবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল।
আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে আইকাও গাইডলাইন অনুযায়ী সীমিত আকারে ফ্লাইট চালুর সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত মাসে ঢাকায় আইকাও এর সঙ্গে মিটিং হয়। সেখানে করোনা পরিস্থিতির মাঝে পুনরায় বিমান চলাচলের ব্যাপারে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের লিভিল এভিয়েশন খাতের শীর্ষ ব্যক্তিরা আলোচনা করেন।
বেবিচকের এক কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য ও কাতারের এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে। কাতার এয়ারওয়েজ দোহা থেকে ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনা করতে চাইলেও কোন বাংলাদেশী যাত্রী তাতে যেতে পারবেনা। করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি থাকায় সেখানে বাংলাদেশীদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বেবিচক থেকে আরও জানা যায়, ফ্লাইটে ওঠার আগে যাত্রীর করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এছাড়া শরীরের তাপমাত্রা ৯৯ ফারেনহাইট বা তার বেশি থাকলে ঐ যাত্রীর যাত্রা বাতিল করা হবে। বিমানবন্দরের টার্মিনালে একাধিক ফ্লাইটের যাত্রীরা একসঙ্গে অবস্থান করতে পারবেনা, বোর্ডিং পাস নেয়ার পর তাদেরকে নির্ধারিত এলাকার মধ্যেই থাকতে হবে। সেই সাথে অবশ্যই সবাইকে মাস্ক ও গ্লাভস পরতে হবে।