থাই এয়ারওয়েজের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা পিছিয়ে গেলো আরও একমাস। ১লা আগস্ট থেকে চালু হওয়ার কথা থাকলেও সিদ্ধান্ত পাল্টেছে থাই এয়ার ওয়েজ। মে মাসের শেষের দিকে জানা গিয়েছিলো, ১লা আগস্ট থেকে শুরু হবে এই এয়ারলাইন্সটির বিমান চলাচল।   

থাই পতাকাবাহী বিমান সংস্থাটি  ৮ই জুলাই জানিয়েছে যে, আগস্ট মাসের সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং ১লা সেপ্টেম্বর খুব শীঘ্রই ফ্লাইটগুলি পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি।  

এয়ারলাইন্সটি প্রথমে দিকে নির্বাচিত কিছু রুটে ফ্লাইট চালু করতে চায়। পরবর্তীতে তা অন্য সকল রুটে সম্প্রসারিত করার ইচ্ছে আছে তাদের। এছাড়া ফ্লাইটের ফ্রিকোয়েন্সি হ্রাস করার কথাও ভাবছে প্রতিষ্ঠানটি।

"নর্দান উইন্টার"এর সময়সূচি অনুসারে কিছু রুট শুধুমাত্র  ২৫ অক্টোবর এর জন্য চালু হবে। 

তবে ১ লা সেপ্টেম্বর থেকে ফ্লাইট চালনার ব্যপারে এখন পর্যন্ত কোন অফিসিয়াল বিবৃতি প্রকাশ করেনি থাই এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে টিজি'র বারবার ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্ত যাত্রীদের উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে। থাইল্যান্ডে আটকে পড়া অথবা থাইল্যান্ডে ফিরতে চাওয়া যাত্রীরা বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

এই মুহুর্তে, থাইল্যান্ডে ভিসার সাধারণ ক্ষমাটি ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্থায়ী হবে এবং কিছু এয়ারলাইন রয়েছে যা কেবলমাত্র থাইল্যান্ডের প্রবাসী বিমান চালাচ্ছে, টিজি'র  টিকেট গ্রাহকরা নতুন টিকেট ক্রয় করতে আগ্রহী নয়। এদিকে যাত্রীগণ বিনা মূল্যে অপর একটি ক্যারিয়ার, স্টার অ্যালায়েন্সে স্থানান্তরিত হওয়ার সুযোগ পাবেন কিনা সে ব্যাপারটিও পরিষ্কার নয়। থাই এয়াওয়েজ এসব ব্যাপারে এখন পর্যন্ত নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে। 

এছাড়াও থাই এয়ারওয়েজের গ্রাহকদের  কখন থাইল্যান্ডে ফিরতে দেওয়া হবে তাও পরিষ্কার নয়। বিমান সংস্থা বর্তমানে প্রত্যাবাসন ফ্লাইট পরিচালনা করছে, যা কেবল থাই নাগরিকদের জন্যই, কোন বিদেশী নাগরিক সেখানে সিট্ পেতে চাইলে 14-15 দিনের কোয়ারেন্টিন এর মতো বেশ কিছু কঠোর প্রক্রিয়ার স্মুখীন হতে হবে।