মনকাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম স্থান ব্রাজিলের ফার্নান্দো দে নরোনহা দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। আর এর পরপরই ভ্রমণ নিয়ে এখানে শর্ত জুড়ে দিয়েছে দ্বীপ কর্তৃপক্ষ।
তারা জানিয়েছে, ফার্নান্দো দে নরোনহা দ্বীপটি আগামী সপ্তাহেই পর্যটকরা প্রবেশ করতে পারবে। তবে দ্বীপটিতে কেবল তারাই ভ্রমণ করতে পারবেন যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
দ্বীপ কর্তৃপক্ষ জানায়, কমপক্ষে ২০ দিন আগে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এমন পর্যটকরা নমুনা পরীক্ষার ফল দেখিয়ে দ্বীপটিতে প্রবেশ করতে পারবেন। এছাড়া করোনা মোকাবিলায় যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তারাও সনদ দেখিয়ে সেখানে যেতে পারবেন।
এর আগে, করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে মার্চের মাঝামাঝি থেকে এ দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য বন্ধ ছিল। তবে গত ৩১ জুলাই এটি স্থানীয় গবেষক ও দ্বীপের বাসিন্দাদের জন্য আবার খোলা হয়েছিল।
ব্রাজিলের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত এই ‘ফার্নান্দো দে নরোনহা’ দ্বীপটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বহুল পরিচিত। সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক জীব-বৈচিত্র্যের কারণে ২০০১ সাল থেকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রয়েছে এই দ্বীপটি। বিরল উদ্ভিদ এবং জীবজন্তু সমৃদ্ধ এ দ্বীপ একটি সংরক্ষিত অঞ্চল।
ফার্নান্দো দে নরোনহা সম্পর্কে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল এটি কোনো পৌরসভা বা প্রশাসনের অধীনে নেই, যা বর্তমান বিশ্বে খুবই বিরল। তবে দ্বীপটিতে রয়েছে অসম্ভব সুন্দর সমুদ্র সৈকত, যাতে রয়েছে ডলফিন, তিমি, বিরল পাখি আর কচ্ছপ সহ আরো নানা প্রাণীর সংরক্ষণ। এসব প্রাণী সংরক্ষণের জন্যেও দ্বীপটিতে জনসংখ্যা কম রাখার ব্যাপারে সরকারি চাপ রয়েছে।