বিদেশ যেতে ইচ্ছুক সকল বাংলাদেশি নাগরিককে এখন থেকে বাধ্যতামূলক করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে হবে। আর তা অবশ্যই সংগ্রহ করতে হবে সরকার অনুমোদিত করোনা টেস্টিং সেন্টার থেকে করোনা পরীক্ষা করে।
গতকাল রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে এক বিশেষ ভার্চুয়াল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরে বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, এখন থেকে বিদেশ গমনকারী সব বাংলাদেশি নাগরিককে বাধ্যতামূলক করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের যাচাইয়ের সুবিধার্থে সার্টিফিকেটসমূহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটেও জমা দিতে হবে।
এছাড়া কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশ গমনকারী প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষার সুবিধার জন্য প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি নির্দিষ্ট নমুনা টেস্টিং সেন্টার স্থাপনেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ভার্চুয়াল সভাটিতে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মুহিবুল হক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনির সালেহীন।
বাংলাদেশে করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রি নিয়ে ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এতে করে দেশের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ধারনা করে হচ্ছে, এই কারনেই বিষয়টি নিয়ে কঠোর হতে যাচ্ছে সরকার।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন কে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কারন জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, "কোনো কোনো দেশ এরকম নির্দেশনা দিয়েছে যে, তাদের দেশে প্রবেশ করতে করোনাভাইরাস নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগবে। সেই বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।"
তবে সম্প্রতি ইতালি থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর ঘটনার সাথে এই সিদ্ধান্তের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান মি. মোমেন।
তিনি আরও বলেন, "ইতালিতে যাওয়া যাত্রীদের কোনো করোনভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল জানতে চাওয়া হয়নি। বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকার মধ্যেও যাওয়ার ফলে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানোর সাথে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলের কোনো সম্পর্ক নেই।"
উল্লেখ্য যে, করোনাভাইরাস নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে ঢাকা থেকে পৌঁছে পজিটিভ হওয়ার পর জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন ঢাকার সাথে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।