ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় মালিন্দো এয়ারওয়েজ। এবিষয়ে আবেদন জানিয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) একটি চিঠিও দিয়েছে তারা। সার্বিক বিষয় পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানায় বেবিচক।

মালিন্দো এয়ার তাদের চিঠিতে কুয়ালালামপুর-ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে ফ্লাইট চালানোর ইচ্ছা পোষণ করেছে। অনুমতি পেলে তারা জুলাই থেকেই ফ্লাইট চলাচল শুরু করার জন্য প্রস্তুত প্রতিষ্ঠানটি।

মালিন্দো এয়ারের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, গোলাম মোহাম্মদ সাকলায়েন সেলিম বিষয়ে বলেন, ‘অন্যান্য এয়ারলাইন্সের মতো মালিন্দো এয়ারও জুলাই থেকে কুয়ালালামপুর-ঢাকা কমার্শিয়াল ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সিভিল এভিয়েশনে আবেদন করেছে। তাদের অনুমতি পাওয়া সাপেক্ষে ফ্লাইট পরিচালনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এদিকে এ বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানান, ‘আমরা তাদের আবেদন বিবেচনা করছি। সে দেশের ট্রাভেল রেস্ট্রিকশনসহ সার্বিক বিষয়ে বিবেচনা করে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

মালিন্দো এয়ার কুয়ালালামপুর হয়ে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী যাত্রী বহন করে আসছে।

মালিন্দো এয়ারের আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস, এয়ার অ্যারাবিয়া, ফ্লাই দুবাই এবং তুরস্কের টার্কিশ এয়ারলাইন্স ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার আবেদন করে। এদের মধ্যে এমিরেটসকে ২১ জুন থেকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে বেবিচক। এবং টার্কিশ এয়ারলাইন্সকে ১ জুলাই থেকে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করা হয়েছে।

তবে বাকিদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বাকিদের বিষয় এখনো বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়া ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয়ার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে যে কোনো দেশের এয়ারলাইন্সকে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের বাংলাদেশের যাত্রীদের সুযোগ সুবিধার কথা আগে বিবেচনা করা হবে।