দীর্ঘ বন্ধের পর ১লা জুন থেকে সীমিত আকারে চালু হয়েছে গণপরিবহন। তবে বেড়েছে ভাড়া।  ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে কিছু রুটের বাসভাড়া প্রায় বিমান ভাড়ার কাছাকাছি চলে গেছে।

সড়ক পরিবহণ রোববার (৩১ মে) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আন্তঃজেলা বা দূরপাল্লার বাস ও  মিনিবাস চলাচলের  ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভাড়ার (যাত্রীপ্রতি কিলোমিটার সর্বোচ্চ ১.৪২ টাকা) ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলো। এছাড়া একজন যাত্রীকে বাস বা মিনিবাসের পাশাপাশি দুইটি আসনের একটি আসনে বসিয়ে অপর আসনটি অবশ্যই ফাঁকা রাখতে বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

নতুন সিদ্ধান্তের ফলে চট্টগ্রাম রুটের বাস ভাড়া প্রায় বিমান ভাড়ার কাছাকাছি চলে  গেছে। ঢাকা চট্টগ্রাম রুটের এসি  বাসের  সর্বোচ্চ ভাড়া ছিলো ১২৫০ টাকা যা নতুন ভাড়ার ফলে ২০০০ টাকায়  গিয়ে দাঁড়িয়েছে।  কিন্তু ১ লা জুন থেকে যাত্রীগণ সর্বনিম্ন ২৫০০ টাকাতেই বিমানে করে চট্টগ্রাম ভ্রমণ করতে পারবেন।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও এয়ারলাইন্সগুলোর সূত্রে জানা যায়, দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইটগুলো চলবে  ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে অর্থাৎ এক সিটে যাত্রী ও এক সিট ফাঁকা রেখে। ১ জুন থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করা জন্য ইতোমধ্যে ভাড়া ঘোষণা করেছে এয়ারলাইন্সগুলো।

তবে যাত্রীদের কাছ থেকে বাসের সার্ভিস দিয়ে বিমানভাড়ার কাছাকাছি টাকা নেয়ার বিষয়টির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন যাত্রীদের সংগঠনগুলো। এ বিষয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দিন লকডাউনে কর্ম হারিয়ে নিদারুণ আর্থিক সংকটে থাকা জনগণের ওপর বর্ধিত ভাড়া চাপিয়ে দেয়া হলে তা ‘মড়ার উপর খাড়ার ঘাঁ’- এ পরিণত হবে।