বিভিন্ন কারণে মানুষকে বিদেশ ভ্রমণ করতে হয়। ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে কিছু না কিছু নিয়ে আসেন তারা। নানা রকম পণ্য থাকে এই তালিকায়। তবে বিমানবন্দর, স্থল বা সমুদ্রবন্দরে হরহামেশা এসব পণ্য ছাড় করতে বেগ পেতে হয়।
কিছু পণ্য আবার ছাড় করাও যায় না । কেননা সব পণ্যই আনতে হবে নিয়মের মধ্য। তাই কতটুকু আপনি বৈধভাবে আনতে পারবেন তা জেনে নেওয়া খুবই দরকারি। কোন পণ্যে কতটা শুল্ক দিতে হবে কাস্টমসকে, আবার কোনগুলো একদমই শুল্কমুক্ত?
পর্যটক নয় এমন যাত্রীরা ব্যাগেজ বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ি যেসব পণ্য (একটি করে) পানি ও আকাশপথে বিনাশুল্কে আনতে পারবেন সেগুলো হলো-
১. ক্যাসেট প্লেয়ার/ টু –ইন-ওয়ান, ২. ডিস্কম্যান/ ওয়াকম্যান ( অডিও), ৩. বহনযোগ্য অডিও সিডি, ৪. ডেস্কটপ/ল্যাপটপ কম্পিউটার (একটি ইউপিএসসহ), ৫. কম্পিউটার স্ক্যানার, ৬.প্রিন্টার, ৭. ফ্যাক্স মেশিন, ৮. ভিডিও ক্যামেরা, এইচডি ক্যাম, ডিভিক্যাম, বেটা ক্যাম এবং প্রফেশনাল কাজে ব্যবহার হয় এমন ক্যামেরা ছাড়া অন্য যেকোনো ক্যামেরা। ৯. সাধারণ টেলিফোন সেট ( পুশবাটন, কর্ডলেস), ১০. সাধারণ ইলেকট্রনিক ও মাইক্রোয়েভ ওভেন,
১১. রাইস কুকার,প্রেসার কুকার, গ্যাসওভেন (বার্নরাসহ) ১২. টোস্টার, স্যান্ডউইচমেকার, ব্লেন্ডার,ফুড প্রসেসর, জুসার, কফি মেকার, ১৩. সাধারণ ও বৈদ্যুতিক টাইপ রাইটার, ১৪. গৃহস্থালিতে ব্যবহারের সেলাই মেশিন ( ম্যানুয়াল/ বৈদ্যুতিক), ১৫. বাসায় ব্যবহারের জন্য টেবিল, প্যাডেস্টাল ও সিলিং ফ্যান, ১৬. ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য স্পোর্টস সরঞ্জাম, ১৭. ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার ও ২০০ গ্রাম ওজনের রৌপ্য অলংকার (একই অলংকার ১২ টির বেশি আনা যাবে না), ১৮. ২০০ শলাকা বা ১ কার্টন সিগারেট, ১৯. ২৯ ইঞ্চি পর্যন্ত প্লাজমা/এলসিডি /টিএফটি/ এলইডি বা এমন প্রযুক্তির টেলিভিশন এবং সিআরটি সাদাকালো/ রঙ্গিন টেলিভিশন, ২০. ভিসিআর, ভিসিপি, ২১. সাধারণ কিংবা দুইটা বা চারটি স্পিকারসহ সিডি/ভিসিডি/ডিভিডি/এমডি/ ব্লুরে ডিস্ক প্লেয়ার ও সেট, ২২. ১৯ ইঞ্চি পর্যন্ত এলসিডি কম্পিউটার মনিটর, ২৩. দুইটি মোবাইল/সেলুলার ফোনসেট (স্মার্ট, অ্যান্ড্রয়েট, আইফোন যেকোন রকম হতে পারে), ২৪. সর্বোচ্চ ১৫ বর্গমিটার আয়তনের কার্পেট।
স্থলপথে একজন যাত্রী ব্যাগেজ রুলে একবারে সর্বোচ্চ ৪শ’ ডলারের পণ্য বিনাশুল্কে আনতে পারবেন। এক বছরে সর্বোচ্চ ৩ বার তিনি এ সুবিধা নিতে পারবেন।