আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি ছড়াতে পারবে এমন হাতছড়ি তৈরি করছে দ্যা বোয়িং কোম্পানি। ককপিট ও কেবিন পৃষ্ঠে জীবাণুনাশে এ ছড়ি তৈরি করা হচ্ছে।
জীবাণুনাশক হিসেবে অতিবেগুনি রশ্মি বা আলট্রাভায়োলেট রশ্মির বেশ নামডাক আছে। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নানা ধরনের জীবাণুনাশক প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ব্যস্ত। বোয়িংয়ের এই ছড়িও সেরকমই এক উদ্ভাবন।
বোয়িংয়ের প্রধান প্রকৌশলী রে লাটারস জানিয়েছেন, বোয়িংয়ের উদ্ভাবিত ইউভি ছড়িটির ব্যবহার শুরু হলে বাড়তি করে আর অ্যালকোহল ও অন্যান্য জীবাণুনাশকের প্রয়োজন পড়বে না। এতে স্পর্শকাতর বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিও ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পাবে।
খবরে বলা হয়েছে, আরও ১৩টি উড়োজাহাজ নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে প্রযুক্তিটি নিয়ে কাজ করছে বোয়িং। লাইসেন্সের বিনিময়ে প্রযুক্তিটিকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ছড়িটির বাণিজ্যিক ব্যবহারের লক্ষ্যে তৃতীয় পক্ষীয় প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিতে শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযুক্তিটির প্রধান পরীক্ষক বোয়িংয়ের কারিগরি বিভাগের কেভিন কালাহান বলছেন, ছড়িটির প্রটোটাইপ বেশ দৃঢ় আকর্ষণ তৈরি করতে পেরেছে। সেবাদাতারা মনে করছেন, কোভিড-১৯ মহামারী কমে আসতে থাকার সময়টিতে এ প্রযুক্তির মাধ্যমে উড্ডয়নে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আসা সম্ভব হবে।
বর্তমানে অনেক এয়ারলাইন ইলেট্রোস্ট্যাটিক জীবাণুনাশক পন্থা ব্যবহার করছে। এর সংস্পর্শে আসা মাত্র ভাইরাস মারা পড়ে। এর পাশাপাশি ব্যবহৃত হচ্ছে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল স্প্রে যা ৩০ দিনের জন্য প্রলেপ তৈরি করে রাখে। উড়োজাহাজ পৃষ্ঠের জন্য বোয়িং এক অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল প্রলেপও তৈরি করছে।