করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবার হজ্জ্ব হবে সীমিত পরিসরে। শুধুমাত্র সৌদি নাগরিক এবং দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশিরা হজ্জ্ব পালন করতে পারবেন। নতুন করে অন্য দেশ থেকে কেউ হজ্জ্ব পালনে যেতে পারবেন না। সৌদি আরবের হজ্জ্ব ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় দীর্ঘ আলোচনার পর সোমবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে।

২০২০-এর হজ্জ্বে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ হাজার ৫৯৪ জন যেতে আগ্রহী ছিলেন। সৌদি সরকারের এরূপ সিদ্ধান্তের কারণে তাদের হজ্জ্বে যাওয়া হচ্ছে না।

আরব নিউজ জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারীর হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে সারা বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে সৌদি মন্ত্রণালয়।

সেখানে বলা হয়, মুসলমানদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে এবার হজ্জ্বের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে।

“সৌদি আরবে বাস করছেন, বিভিন্ন দেশের এমন নাগরিকদের স্বল্প সংখ্যক নাগরিক হজ্জ্বে অংশ নিতে পারবে।

এর আগে আশংকা করা হয়েছিল, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার হজ্জ্বে বাতিল করতে পারে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এমনকি সৌদি আরবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর কাবা শরিফেও নামাজ আদায় বন্ধ করে দিয়েছিল সৌদি সরকার।

সোমবার নাগাদ সৌদি আরবে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর সীমিত পরিসরে হজ্জ্বের আনুষ্ঠানিকতার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।

প্রতি বছর কুরবানির ঈদের সময় ২৫ লাখ মুসলমানদের অংশগ্রহণে সৌদি আরবে হজ্জ্ব পালিত হয়। মুসলমানদের জন্য হজ্জ্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দেশটিতে বসবাসরত খুবই সীমিত সংখ্যক হলেও মানুষ এবার হজ্জ্ব পালনের সুবিধা পাবেন। একমাত্র এভাবেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে কর্তৃপক্ষ বলছে।

অর্থাৎ, হজ্জ্ব চলাকালিন সময়ে হাজীদের দ্বারা পরিপূর্ণ জায়গাগুলো এবার জনশূন্য দেখা যাবে।

সৌদি আরবের ধর্মীয় নেতাদের ফোরাম, দি কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার  হাজীদের সংখ্যা সীমিত রাখার এই সিদ্ধান্তে সমর্থন দিয়েছে বলে জানিয়েছে আরব নিউজ।

অন্যদিকে মিশরের মন্ত্রী, মোহাম্মদ মোখতার গোমা মহামারীকালে সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন।