সরকারি নির্দেশনা পেলে আগামী ১৬ মে এর পর অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারে  বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বেবিচক।

বিমান চলাচলের অনুমতি দিলেও এয়ালাইন্স গুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে কঠোর ভাবে।  সে ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী বহন করতে পারবে না তারা। এতে আকাশপথে ভ্রমণে ভাড়া বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

এর আগে ৮ মে থেকে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান  সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চালুর কথা বললেও করোনা প্রাদুর্ভাব বাড়ায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে  আসে বেবিচক। 

বেবিচকের কর্মকর্তাদের মতে, তারা সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন। তবে  সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা এখনো দেয়া হয়নি।

সূত্রে  জানা যায় , ফ্লাইট চালুর অনুমতি মিললেও এয়ারলাইন্সগুলোকে বেশ কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের শর্ত মেনে যাত্রী পরিবহন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে যাত্রীকে হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও পিপিই দিতে হবে। এছাড়াও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাও নিশ্চিত করতে হবে। ৫০ শতাংশ আসন রাখতে হবে ফাঁকা।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) সোহেল কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। সরকার সিদ্ধান্ত দিলেই কেবল ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেবে বেবিচক। 

করোনা  সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায়  গত ২৪ মার্চ থেকে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়  বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় দফায় সময় বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়।