সহসাই শুরু হচ্ছেনা ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে আকাশপথে যোগাযোগ । ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি মিললেও শীঘ্রই ফ্লাইট শুরু করার পরিকল্পনা নেই মালিন্দো এয়ার-এর । একইভাবে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সও ঢাকা থেকে শিগগিরই ফ্লাইট শুরু করছে না। বাংলাদেশী শ্রমিকদের পরিবহন করার অনুমতি না পাওয়ায় ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। এই তথ্য জানিয়েছেন একাধিক এয়ারলাইন্স কর্মকর্তাগণ । এদিকে নিয়মিত ফ্লাইট চালু না হওয়ায় হতাশা বাড়ছে প্রবাসীদের।
৪ জুলাই মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ার গ্রুপের মালিকানাধীন মালিন্দো এয়ার এবং শ্রীলঙ্কার মিহিন লঙ্কা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পায় বলে জানা গেছে । সে সময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামান জানান, মালিন্দো এয়ারে কেবল ট্রানজিট যাত্রী ও মালয়েশিয়ার রেসিডেন্স পারমিটধারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। তবে এখনই মালয়েশিয়ায় যেতে ও দেশে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন না বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিকরা ।
এদিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের পরিবহনের অনুমতি না থাকায় ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আগ্রহ হারিয়েছে এয়ারলাইন্স গুলো । বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়ার মালিন্দো এয়ার, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স কেউই ঢাকা-কুয়ালালামপুরে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আগ্রহী না।
মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যবসায়িক দৃষ্টিতে এই রুটে ফ্লাইট চালানো সম্ভব না। কোনও বিদেশি মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না, মালয়েশিয়ানরাও কোনও দেশে যেতে পারবেন না। অন্যদিকে বাংলাদেশে প্রবাসীদের ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না। ফলে খুব সীমিত যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করলে লোকসান গুনতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলির । পরিস্থিতি পরিবর্তন না হলে আগস্টের আগে ফ্লাইট শুরু করা সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশে মালিন্দো এয়ারের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছি। তবে ফ্লাইট শিডিউল ঠিক হয়নি এখনও। বাংলাদেশী প্রবাসীদের পরিবহন করতে না পারায় আমাদের সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত না। ১৯ জুলাই পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে চান। নিজ নিজ অফিসিয়াল পলিসির কারণে নাম প্রকাশে রাজি হননি ওই দুই এয়ারলাইন্স কর্মকর্তা।
মালয়েশিয়া বাংলাদেশের একটি বৃহৎ শ্রমবাজার। করোনা মহামারির কারণে অনেক শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। সংকটে পড়ে দেশে ফিরে আসতে চান অনেকেই। অসুস্থ এবং প্রবাস জীবনের ইতি টেনে একেবারেই দেশে ফিরতে চান। নিয়মিত ফ্লাইট চালু না হলে তারা দেশে ফিরতে পারছেন না। অন্যদিকে মালয়েশিয়ায় থাকা খাওয়ার খরচ জোগানো তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে গেছে। অনেকেই দেশ থেকে টাকা নিয়ে খাবার খরচ জোগাচ্ছেন। অনেকেই দেশে ফেরার আবেদন জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।