১৪ এপ্রিল (বুধবার) থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। করোনার ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এরূপ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ (১২ এপ্রিল) সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
লকডাউন সময়কালে জরুরি সেবা ছাড়া, সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে শিল্প কলকারখানা। ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এর আগে গত শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সময় সংবাদকে টেলিফোনে জানান, করোনা ঠেকাতে গত ২৯ মার্চ থেকেই সতর্ক করা হচ্ছে মানুষকে। ৪ এপ্রিলের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমেও জনমত তৈরি, মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে যেভাবে বর্তমান পরিস্তিতিতে কঠোর লকডাউনের মাধ্যমেই রোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কঠোর লকডাউনের সময় জরুরি সেবা ছাড়া সকল অফিস-আদালত-কলকারখানা সবকিছু বন্ধ রাখতে হবে।
মার্কেট খোলা রাখার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের জন্য মার্কেট খোলা রাখা হয়েছে। এরপরই এক সপ্তাহ কড়া লকডাউন প্রয়োজন। কড়া লকডাউন ছাড়া করোনার বিস্তার ও মৃত্যুর সংখ্যা ঠেকানো যাবে না।
‘সংক্রমিত মানুষের সংস্পর্শে এলে করোনা ছড়াবেই’ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর ফলে এখন কঠোর লকডাউনের কোন বিকল্প নেই। কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ কমানো সম্ভব বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।