যুক্তরাজ্য সরকার নতুন কোয়ারেন্টিন নীতিমালা নির্ধারণ করেছেন। যা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
নতুন নিয়ম অনুসারে যুক্তরাজ্য ভ্রমণকারীদের হোম কোয়ারেন্টিন এবং হোটেল কোয়ারেন্টিন নামক আলাদা দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, করোনা রেডলিস্টে থেকে আসা লোকজনের জন্য হোটেল কোয়ারেন্টিন এবং অন্যান্য দেশ থেকে আগতদের জন্য হোম কোয়ারেন্টিন কঠোর ভাবে পালন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাংলাদেশ তালিকায় রেড জোনের বাইরে আছে ।
স্বাস্থ্য সচিব হ্যানকক হাউস অফ কমন্সে এর ভাষণে বলেছেন, যারা নিয়ম লঙ্ঘন করবে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। নতুন আইনে প্যাসেঞ্জার ক্যরিয়ারের ভ্রমণের আগেই তাদের যাত্রীদের সকল নিয়মাবলী জানিয়ে স্বাক্ষর গ্রহণ করবে, অন্যথায় জরিমানা প্রদান করতে হবে।
যুক্তরাজ্য ভ্রমণের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ থেকে নিম্নোক্ত নিয়ম অনুসরণ করতে হবে:
০১. উড্ডয়নের আগে ৭২ ঘন্টা মধ্যে করোনা পরীক্ষার নেগিটিভ সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
০২. ইংল্যান্ডে প্রবেশকারীদের অবশ্যই কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে। যুক্তরাজ্যে আসার পর দ্বিতীয় ও অষ্টম দিনে দুটি বাধ্যতামূলক পিসিআর পরীক্ষা সহ বাড়িতে ১০ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে।
০৩. নতুন নীতি অনুযায়ী প্যাসেঞ্জার লোকেটর ফর্ম ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্য সকল ভ্রমণকারীদের প্রদান করা হয়েছে।
০৪. প্যাসেঞ্জার লোকেটর ফর্মে মিথ্যা তথ্য প্রদানের দায়ে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান আছে।
০৫. নিয়ম অনুসারে যাত্রীদের তথ্য যাচাই এর দায়ভার ক্যারিয়ার বহন করবে।
০৬. প্রথম টেস্ট না নেওয়ার জন্য ১,০০০ পাউন্ড জরিমানা দিতে হবে।
০৭. দ্বিতীয় পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য ২,০০০ পাউন্ড জরিমানা দিতে হবে।
০৮. যুক্তরাজ্য পৌছানোর পর করোনা পরীক্ষা দিতে বা কোয়ারেন্টিন পালন করতে অস্বীকৃতি জানালে প্রয়োজন অনুসারে আলাদা জরিমানার ব্যাবস্থা থাকবে।